Saturday 26 May 2018

West Bengal Madhyamik Life Science Question and Answer | Chapter 3

  Bithika       Saturday 26 May 2018
এখানে পশ্চিমবঙ্গের মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য জীবনবিজ্ঞান ও পরিবেশ ভাবনা পাঠ্যাংশের অন্তর্গত তৃতীয় অধ্যায় - ''বংশগতি এবং কয়েকটি জিনগত সাধারণ রোগ'' থেকে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর তৈরি করে দেওয়া হল। আশাকরি প্রশ্ন ও উত্তরগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষা-প্রস্তুতিতে কিছুটা সহায়তা করবে।
অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন(VSA):

১) বংশগতির জনক কে?

উঃ গ্রেগর জোহান মেন্ডেল।

২) জিন শব্দটি কে প্রথম প্রবর্তন করেন?

উঃ বিজ্ঞানী জোহানসেন।

৩) কে সর্বপ্রথম ক্রোমোজোম নামকরণ করেন?

উঃ বিজ্ঞানী ওয়ালডেয়ার।

৪) জিন কী?

উঃ বংশগতির ধারক ও বাহক।

৫) ক্রোমোজোমের যে নির্দিষ্ট স্থানে জিন অবস্থান করে তাকে ঔ জিনের কী বলে?

উঃ লোকাস বলে।

৬) মানুষের স্বাভাবিক দেহকোশে ক্রোমোজোম সংখ্যা কয়টি?

উঃ ২৩ জোড়া বা ৪৬টি।

৭)  পুত্র বা কন্যা সন্তান সৃষ্টিতে কার ভূমিকা বেশি?

উঃ পিতার।

৮)  একটি বংশগত রোগের নাম বল?

উঃ থ্যালাসেমিয়া।

৯) একটি অটোজোমাল জিন দ্বারা বাহিত রোগের নাম লেখো।

উঃ থ্যালাসেমিয়া।

১০) বর্ণান্ধতার জন্য দায়ী জিনটির নাম লেখো।

ঊঃ প্রচ্ছন্নধর্মী ও সেক্স লিংকড জিন।

১১) বিজ্ঞানী মেন্ডেল তাঁর বংশগতি পরীক্ষার জন্য কোন জীবকে নির্বাচন করেন?

উঃ মটর।

১২) কত খ্রীস্টাব্দে মেন্ডেল বংশগতি সংক্রান্ত সূত্রগুলি প্রকাশ করেন?

উঃ ১৮৬৬ খ্রীস্টাব্দে।

১৩) মিউটেশন তত্ত্বের প্রবক্তা কে?

উঃ হুগো দ্য ভ্রিস।

১৪) বিজ্ঞানী মেন্ডেল জিনকে কী নামে অভিহিত করেছিলেন?

উঃ ফ্যাক্টর।

১৫) মিউটেশনের ফলে সৃষ্ট নতুন ফিনোটাইপকে কী বলা হয়?

উঃ মিউট্যান্ট বলে।

১৬) জীবের কোন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বাহ্যিক প্রকাশকে কী বলে?

উঃ ফিনোটাইপ বলে।

১৭) সংকরায়ণ কাকে বলে?

উঃ কোন নির্দিষ্ট চরিত্রের সাপেক্ষে পরস্পর বিপরীত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন একই প্রজাতিভুক্ত দুটি জীবের মিলনকে সংকরায়ণ বলে।

১৮) একজোড়া পরস্পর বিপরীত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন দুটি বিশুদ্ধ জীবের মধ্যে সংকরায়ণ ঘটানোর পদ্ধতিকে কী বলে?

উঃ একসংকর জনন।

১৯) মেন্ডেলের একসংকর জননের F2 জনুতে ফিনোটাইপিক অনুপাত কত ছিলো?

উঃ 3:1

২০) মেন্ডেলের একসংকর জননের F2 জনুতে জিনোটাইপিক অনুপাত কত ছিলো?

উঃ 1:2:1

২১) মানুষের দেহকোশে অটোজোম-এর সংখ্যা কয়টি?

উঃ ২২ জোড়া বা ৪৪টি।

২২) পিতা তার পুত্র সন্তানকে কোন প্রকৃতির গ্যামেট প্রদান করেন?

উঃ Y প্রকৃতির।

২৩) থ্যালাসেমিয়া রোগটি কোন জিনের প্রভাবে ঘটে?

উঃ প্রচ্ছন্ন মিউট্যান্ট জিনের প্রভাবে ঘটে।

২৪) হিমোফিলিয়ার ক্ষেত্রে দায়ী জিনটির নাম লেখো?

উঃ x-ক্রোমোজোমস্থিত প্রচ্ছন্ন জিন।

২৫) পপুলেশনে কোন লিঙ্গের ব্যক্তি বর্ণান্ধতা রোগে বেশি আক্রান্ত হন?

উঃ পুরুষেরা।

Checkout Also: WBBSE Life Science Question and Answer in Bengali from Test Paper

শূন্যস্থান পূরণ করোঃ

১) ক্রোমোজোমে অ্যালিলের অবস্থান বিন্দুকে ----বলে।

উঃ লোকাস।

২) মানুষের দেহকোশে ২২ জোড়া ......থাকে।

উঃ অটোজোম থাকে।

৩) বর্ণান্ধতা রোগের জিনটি ..................ক্রোমোজোমে থাকে।

উঃ X ক্রোমোজোমে।

৪) উভলিঙ্গ ফুল থেকে অপরিণত অবস্থায় পুংকেশরের অপসারণকে ..................বলে।

উঃ ইমাসকুলেশন।

৫) হেটেরোজাইগোট থেকে সৃষ্ট জীবকে......... বলে।

উঃ হেটেরোজাইগাস।

সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন(SA):

১) বংশগতির সংজ্ঞা
দাও।

উঃ যে প্রক্রিয়ায় পিতা-মাতার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সন্তান-সন্ততির দেহে বংশপরম্পরায় সঞ্চারিত হয়, তাকে বংশগতি বলে ।

২) অ্যালিল কী?

উঃ সমসংস্থ ক্রোমোজোমের নির্দিষ্ট বিন্দুতে অবস্থিত বিপরীত বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রক উপাদানের এক-একটিকে অ্যালিল বাঅ্যালিলোমর্ফ বলে ।  যেমন লম্বা-বেঁটে, সাদা-কালো ইত্যাদি জোড়া জোড়া বিপরীত বৈশিষ্ট্য নির্ধারণকারী জিন-যুগলের প্রত্যেকটিকে অ্যালিলবলে ।

৩) ফিনোটাইপ ও জিনোটাইপ কাকে বলে?

উঃ  কোনো জীবের বৈশিষ্ট্যগুলির বাহ্যিক প্রকাশ ওই জীবের ফেনোটাইপ বলে । আবার জীবের জিনের গঠন বা জিন-সংযুক্তির দ্বারা নির্ধারিত বৈশিষ্ট্যকে ওই জীবের জেনোটাইপ বলে ।

৪) মেন্ডেলের পৃথকীভবনের সূত্রটি লেখো।

উঃ  পৃথকীভবনের সূত্র:- প্রথম অপত্য জনুতে উদ্ভুত সংকর জীবের মধ্যে সঞ্চারিত জনিতৃ জনুর বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্যগুলির মিশ্রণ ঘটে না; উপরন্তু সংকর জীবগুলির মধ্যে গ্যামেট গঠনকালে প্রতিটি বৈশিষ্ট্য নির্ধারক অ্যালিল দুটি পরস্পর থেকে পৃথক হয়ে যায় । এই সূত্রটি ‘পৃথকীভবনের সূত্র’ বা ‘পৃথকীকরণের সূত্র’ নামে পরিচিত । এটি মেন্ডেলের প্রথম সূত্র।

৫) মেন্ডেল তাঁর পরীক্ষার জন্য মটর গাছ নির্বাচন করেছিলেন কেনো?

উঃ

ক) মটর গাছ দ্রুত বংশবিস্তারে সক্ষম, তাই অল্প সময়ের মধ্যে বংশানুক্রম কয়েকপুরুষ ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব ।

খ)  মটর ফুল উভলিঙ্গ হওয়ায় মটর গাছে স্ব-পরাগযোগ ঘটানো সম্ভব ।

গ) মটর গাছ স্ব-পরাগী হওয়ায় বাইরে থেকে আসা অন্য কোনো চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম ।

ঘ) মটর গাছের মধ্যে অনেক রকমের বিপরীত বৈশিষ্ট্যের সমন্বয় ঘটতে দেখা যায়, অর্থাৎ মটর গাছের মধ্যে বহু প্রকার দেখা যায় ।

ঙ) মটর গাছ বংশপরম্পরায় নির্দিষ্ট চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন খাঁটি অপত্য গাছ উত্পাদনে সক্ষম ।

চ)  সংকর গাছগুলি জননক্ষম হওয়ায় নিয়মিতভাবে বংশবৃদ্ধি করতে পারে ।

Download the Question and Answer as PDF, Click here
logoblog

Thanks for reading West Bengal Madhyamik Life Science Question and Answer | Chapter 3

Previous
« Prev Post

No comments:

Post a Comment